২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

শিশু শিক্ষার্থীকে প্রহার করায় শিক্ষক আজাদকে শোকজ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
মার্চ ২৯, ২০২২
19
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
শিশু শিক্ষার্থীকে প্রহার করায় শোকজ
প্রতীকী ছবি | ছবি : শিশু শিক্ষার্থীকে প্রহার করায় শোকজ

এ রহমান,ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে প্রহারের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ’র বিরুদ্ধে।

রবিবারের ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৩সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটন করেছে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।

আহত শিশু শিক্ষার্থীর পিতা আবুল বাশার জানান, রবিবার শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ’র ৫ম শ্রেণিতে দেরী করে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করায় শিক্ষার্থীরা টেবিলের উপরে খেলতেছিলো। ৪জনে টেবিলের চারপাশে দাড়ালে আমার কন্যা হামিদা স্যারের চেয়ার সোজা দাড়ানো ছিলো। ভুলক্রমে চেয়ারে বসলে ইতিমধ্যে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেই শিশু শিক্ষার্থী হামিদার মুখমন্ডলে কয়েকটি চড় থাপ্পর দেয়। পরে ঘাড় ধরে ধাক্কা দিলে বেঞ্চের উপরে পড়ে যায়। এতে মাথায়, গালে এবং হাটুতে আঘাত লাগে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করিয়ে এখন বাসায় বিশ্রামে আছে। সোমবার একটি পরীক্ষা থাকায় শুধুমাত্র হাজিরা দিয়ে আবার বাড়িতে নেয়া হয়।

আরও পড়ুন>>>মেয়ের ধর্ষককে হত্যার পর টুকরো করে নদীতে ফেললেন বাবা

এছাড়াও শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিকবার শিক্ষার্থীদের মারধর, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে রুটিন অনুযায়ী বাসা থেকে নাস্তা, পান এনে তাকে খাওয়ানোর জন্য দিন নির্ধারণ করে দেয়া হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
এমনকি নীতি-নৈতিকতা বিরোধী আরো অভিযোগও রয়েছে তার নামে এমন জনশ্রুতি রয়েছে মাদ্রাসা ক্যাম্পাস এলাকায়।

এবিষয়ে শিক্ষক আজাদ ছাত্রী হামিদাকে মারধরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ক্লাসে গিয়ে দেখি আমার চেয়ারে বসা। তখন আমি তার গালে একটি থাপ্পর দিলে সে পড়ে গিয়ে আহত হয়। অন্যসব অভিযোগের কোন সদুত্তর না দিয়ে তিনি জানান, আমার আপন ছোট ভাই পিন্টুও সাংবাদিক।

মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউর রহমান জানান, রোববারে মাদ্রাসার জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকায় হঠাৎ দেখি একটি ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে হাতে হাতে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জেনে ওই ছাত্রীকে অভিভাবকসহ ডেকে এনে তার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে চিকিৎসার দায়ভার নিয়েছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৩সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং ঘটনা সম্পর্কে তার কাছ থেকে জানতে কারণ দর্শনো (শোকজ) নোটিশ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সার্বিক বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি আমি সোমবার রাতে জেনেছি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আমার মাধ্যমে মন্ত্রণায়ে অবহিত করতে বলেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram