শেষ অঙ্ক মিলিয়ে নিলো পাকিস্তান, হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
ক্রীড়া ডেস্কঃ শেষ ওভারে কিঞ্চিত জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। শেষ ওভারে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৮ রান। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে ২ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে আশান্বিত করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিন বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ পাকিস্তানের দিকে নিয়ে যান ইফতেখার আহমেদ। পঞ্চম বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি।
শেষ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ২ রান। এই বলের আগে চললো আরও এক নাটক। প্রথমে রিয়াদের ডেলিভারি ব্যাট না চালিয়ে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নওয়াজ। পরের ডেলিভারির আগে শেষ মুহূর্তে হাত থেকে বল ছাড়েননি রিয়াদ। তবে পরে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নওয়াজ। বাংলাদেশের হার ৫ উইকেটে।
পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত মহানাটকের এই শেষ অঙ্ক মিলিয়ে নিতেই হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।
ব্যর্থতার বৃত্তেই আটকে আছে বাংলাদেশ। টানা ৮ ম্যাচ পরাজয় দেখলো টাইগাররা। বিশ্বকাপের মূল পর্বে ৫ ম্যাচে অংশ নিয়ে শূন্য হাতে আরব আমিরাত থেকে দেশে ফেরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলটি।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১২৭/৭রান করে ৪ উইকেটে হারে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ১০৮/৭ রান করে ৮ উইকেটে পরাজয় দেখে টাইগাররা। সোমবার তৃতীয় ম্যাচে ১২৪/৭ রান করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা হেরে যায় ৭ উইকেটে।
আজ সোমবার (২২ নভেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করে বাংলাদেশ। টার্গেট তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটের জয় পায় পাাকিস্তান।
এদিন টস জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমে ৩৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে টাইগাররা। তৃতীয় উইকেটে আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
১৪.২ ওভারে দলীয় ৮০ রানে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন আফিফ। তার আগে ২১ বলে ২ ছক্কায় ২০ রান করেন এই তরুণ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে ২৫ বলে ফের ৩১ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
আরও পড়ুন>>>সর্বোচ্চ দূষিত ১০০ শহরের তালিকায় বাংলাদেশের ৪
এরপর মাত্র ১৩ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ দল। ৫০ বলে দুটি চার ও দুটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
দুই বলে ৪ রান করে ফেরেন নুরুল হাসান সোহান। ১৪ বলে ১৩ রান করার সুযোগ পান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩ বলে ২ রানে রান আউট হন আমিনুল।
শেষ দিকে ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ।
মামুলি স্কোর তাড়া করতে নেমে ৬.৬ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রত্যাশিত মানের ব্যাটিং কারতে পারেননি পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। প্রথম দুই ম্যাচে তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানের গতির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ তারকা ব্যাটসম্যান।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে তরুণ লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলামের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন বাবর আজম। শেষ অঙ্ক মিলিয়ে নিলো
আগের দুই ম্যাচে ৭ ও ১ রানে আউট হওয়া পাকিস্তানের এই সময়ের সেরা এই ব্যাটসম্যান এদিন ফেরেন ২৫ বলে ২টি বাউন্ডারিতে ১৯ রান করে। শেষ অঙ্ক মিলিয়ে নিলো
দ্বিতীয় উইকেটে হায়দার আলীকে সঙ্গে নিয়ে ৪৯ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। দলীয় ৮৩ রানে অভিষিক্ত পেসার শহিদুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রিজওয়ান। তার আগে ৪৩ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় ৪০ রান করে ফেরেন এই তারকা ওপেনার।