৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

‘সংসদে স্বতন্ত্র মোর্চা গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে’

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কন্ঠ
আপডেট :
জানুয়ারি ১৬, ২০২৪
17
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
| ছবি : 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : সংসদে স্বতন্ত্র মোর্চা গঠনের আগ্রহ প্রকাশ করে ফরিদপুর-৩ আসনের নব নির্বাচিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদ বলেছেন, যদি আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়। আমি মনে করি বিরোধী দলের যে ১১ জন আছেন,তাদের চেয়ে ভাল ভূমিকা রাখতে পারব। আমরা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবো। সরকারের উন্নয়নকে তুলে ধরব। সরকারের যেটা ঘাটতি আছে, সেগুলো তুলে ধরব।

সোমবার বিকালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন।

এ. কে. আজাদ এমপি বলেন, এই প্রথম ৬২ টি আসন পেয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা । আর জাতীয়পার্টি পেয়েছে মাত্র ১১টি আসন। আমরা সবাই আওয়ামী লীগেরই বিভিন্ন দায়িত্ব প্রাপ্ত আছি। পার্টির থেকে (আওয়ামী লীগ) যখন আহবান আহবান করা হয়েছে, যে আমরা তো সবাইকে নৌকা দিতে পারিনি। যদি কেউ আমাদের আওয়ামী লীগের লোক স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চায়,তাহলে পার্টির কোন আপত্তি থাকবে না। সেই আহবানে আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি বিভিন্ন মার্কায়। আমরা তো নৌকা মার্কায় হইনি। নৌকা মার্কায় বা যে কোন পার্টির মার্কায় হলে, পার্টির সিদ্ধান্তের বাইরে কোন সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না। কিন্তু এক্ষেত্রে আমরা উম্মুক্ত। আমরা মনেকরি, আমাদের এই ৬২ জনকে যদি একটা মোর্চা করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে আমরা সকলে মিলে স্পীকারের কাছে আহবান করবো।

আমরা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করবো। সরকারের উন্নয়নকে তুলে ধরব। সরকারের যেটা ঘাটতি আছে, সেগুলো তুলে ধরব। আমি মনে করি বেরোধী দলের যে ১১ জন আছেন,তাদের চেয়ে ভাল ভূমিকা রাখতে পারব। যদি আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয়।

তিনি বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ১৫ আগস্টে তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্য, জাতীয় ৪ নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সশ্রদ্ধ সালাম জ্ঞাপন করে এ.কে. আজাদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল, শোষনহীন সমাজ ব্যবস্থা। অর্থাৎ সোনারবাংলা তিনি প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে শেষ করছেন। দেশ আজ অগ্রগতির পথে। আমরা নিম্ন আয়ের দেশে থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উপনিত হয়েছি। আমাদের মাথাপিছু আয় ৩ হাজার ডলারের কাছাকাছি চলে এসেছে। সর্বোপরি বাংলাদেশ এখন আর দরিদ্র দেশে নাই। বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে।

সংসদ সদস্য এ. কে. আজাদ বলেন, ফরিদপুর ৩ আসনের মানুষের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। যেসব বেকার যুবক ছেলে-মেয়ে আছে, তাদের কর্মসংস্থান বাড়ানো। পাশাপাশি যেসব চাঁদাবাজি, মাদক , সন্ত্রাস আছে ,সেগুলো থেকে ফরিদপুরবাসীকে রেহায় দেওয়া। পাশাপাশি আমি শিক্ষাঙ্গনে যাতে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা যায়, সে ব্যাপারে প্রচেষ্টা নেব। ৩টি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন শুরু করেছি। পাশাশি ফরিপুরে আমার একটি শিল্পপার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের এ অঞ্চলে জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেস্টায় পদ্মা সেতু হয়েছে। এই সেতু হওয়ার আগে আমাদের ফরিদপুর থেকে ঢাকা যেতে ৪ ঘন্টা/৫ঘন্টা সময় লাগত। এখন আমরা দুই ঘন্টায় যাই। এরমধ্যে রেল লাইন চালু হয়েছে। এই ২১টি জেলায় ৬০ এর দশেকে কিছু ভারী শিল্প কল-কারখানা বিশেষ করে পাট শিল্প গড়ে উঠেছিল। সেগুলো এখন বিলুপ্তির পথে। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহবান জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের পদ্মার এপাড়ে বিনিয়োগ করার জন্য। আমি ফরিদপুরের কোন একটা অঞ্চলে একটা শিল্পপার্ক গড়ে তুলবো। ভোলার থেকে আমাদের যে গ্যাস আসবে, সেটা পাইপ লাইনের মাধ্যমে ঢাকা সরবরাহ করা সম্বভ নয়। সে কারণে এলপিজির মাধ্যমে ফরিদপুরে আমরা গ্যাস নিয়ে আসব। তাতে করে এখানে শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে। এই ২১টি জেলার মানুষের চাকরির জন্য আর ঢাকা যেতে হবে না। ছেলে-মেয়রা পাশ করার পর ফরিদপুরেই চাকরি পাবে। এটাই ফরিদপুরবাসীর প্রতি আমার প্রতিশ্রুতি।

এর আগে ফরিদপুর-৩ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য এ.কে. আজাদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বিকাল সাড়ে ৩ টায় টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। পরে তিনি বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের প্রতি বিনম্র সম্মান প্রদর্শন করেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু, ৭৫ এর ১৫ আগস্টের শহীদ ও মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মউৎসর্গকারী ৩০ লাখ শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।

প্রার্থনা করা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য।

পরে তিনি বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের প্রশাসনিক ভবনে যান। সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জাহিদ, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক মনিরুল হাসান মিঠু, যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনির, হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন, হা-মীম গ্রুপেরপরিচালক বেলাল হোসেন সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী এবং নির্বাচনী এলাকার হাজার-হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram