২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

সত্যিকার মুসলমান অন্যের ক্ষতি করে না: তথ্যমন্ত্রী

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
অক্টোবর ২০, ২০২১
14
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
সত্যিকার মুসলমান অন্যের ক্ষতি করে না: তথ্যমন্ত্রী
ছবি- সংগৃহীত | ছবি : সত্যিকার মুসলমান অন্যের ক্ষতি করে না: তথ্যমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্টঃ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সত্যিকার মুসলমান অন্যের ক্ষতি করে না। যারা ইসলামের কথা বলে হানাহানিতে লিপ্ত হয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ করে তারা ফেৎনা সৃষ্টিকারী ও ইসলামের ওপর কালিমা লেপনকারী। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

আজ হিজরি ১৪৪৩ সনের ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী (সা:) এর জন্ম ও ওফাত দিবস পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত জশনে জুলুস ও শান্তি মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

আয়োজক সংগঠন আঞ্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভান্ডারীয়া ও আন্তর্জাতিক সূফি ঐক্য সংহতির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান অনলাইনে এবং শাহসূফি সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীতে হানাহানি, দলাদলি বন্ধ করে মানুষকে সুপথে এনে শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেছেন মহানবী (সা:)। ইসলামের মূল মর্মবাণী মানুষে মানুষে ভ্রাতৃত্ব, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি স্থাপন করা। যারা এই মর্মবাণী ধারণ করে, তারা কখনো জঙ্গি হয় না, হানাহানিতে লিপ্ত হয় না, ইসলামের নামে কারো ওপর আক্রমণ করে না, কারণ রাসুল (সা:) কখনো ধর্মের নামে কারো ওপর আক্রমণের শিক্ষা দেননি, ইসলাম কখনো সে শিক্ষা দেয় না।

আরও পড়ুন>>>মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি র‍্যাবের

কিন্তু আজকে ইসলামের এই মূল মর্মবাণী থেকে সরে গিয়ে অনেকে ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ওলী-আম্বিয়াদের বিরুদ্ধে কথা বলে, তরুণদের বিপথগামী করে উল্লেখ করে ড. হাছান দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে স্মরণ করিয়ে দেন, এই জনপদে, এই উপমহাদেশে কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে ইসলাম বিস্তার লাভ করেনি।

ওলী-আম্বিয়ারা মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে, বুঝিয়ে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে এনেছেন। তাই যারা ইসলামের কথা বলে ওলী-আম্বিয়াদের বিরোধিতা করে, হানাহানিতে লিপ্ত হয়, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর আক্রমণ করে তারা ফেৎনা সৃষ্টিকারী ও ইসলামের ওপর কালিমা লেপনকারী। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।’

‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষেরা ইরাকের বাগদাদ থেকে ধর্মপ্রচারের জন্য এদেশে আসেন’ স্মরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এদেশ যেমন মুসলিমদের, তেমনই হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানদের, আমাদের সবার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এখানে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য বজায় রাখতে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। সত্যিকার মুসলমান অন্যের ক্ষতি

এসময় ফিলিস্তিনের মুসলিমদের ওপর অত্যাচার বন্ধে ও মায়ানমার থেকে উদ্বাস্তু হয়ে এদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদে মায়ানমারে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ড. হাছান মাহমুদ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ধর্মের নামে বিভেদ সৃষ্টিকারীদের এই দেশে ঠাঁই হবে না। সরকার এদের কঠোর হস্তে দমন করবে।

রংপুরের পীরগঞ্জ সফররত ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই সমাবেশের মাধ্যমে দেশে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির মাইভান্ডার শরীফের শীর্ষনেতা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ শান্তি মহাসমাবেশ সফল করার জন্য সকল অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram