সুদের টাকা না পাওয়ায় ১২ বছরের কিশোরীকে বিয়ে

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইল সদরের চিলাবাড়ি এলাকায় সুদের টাকা না পাওয়ায় ঋণগ্রহীতার ১২ বছরের কিশোরীকে বিয়ে করেছেন সিরাজুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির।

গত (২৫ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল সদরের কাকুয়া ইউনিয়নের রাঙাচিরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটলেও মঙ্গলবার (১ মার্চ) জানাজানি হয়।

তিনি টাঙ্গাইল সদরের চিলাবাড়ি গ্রামের মৃত ফজলু মিয়ার ছেলে। তিনি সুদের কারবার করেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তার স্ত্রী ও কলেজপড়ুয়া সন্তান রয়েছে।

স্থানীয় ও কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিরাজুলের কাছ থেকে সুদে টাকা নেন রাঙ্গাচিরা গ্রামের ইউসুফ। তবে তিনি সময়মতো টাকা পরিশোধ করতে পারেননি। এ জন্য স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় ইউসুফের ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে করেন সিরাজুল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বিয়ের নিবন্ধন করেন স্থানীয় কাজি আমিরুল ইসলাম।

আরও পড়ুন>>>অব্যবহৃত ডাটা ১৫ মার্চ থেকে যুক্ত হবে

রাঙাচিরা গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বার সোলাইমান মণ্ডল বলেন, এ খবরটি পরে জানতে পেরেছি। তাৎক্ষণিকভাবে খবরটি জানলে এমনটি হতে দিতাম না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম বলেন, শরিয়তে কোনো নিষেধ নেই। ৮০ বছরের বৃদ্ধও ১২ বছরের মেয়েকে বিয়ে করতে পারবে। তাহলে আমি পারবো না কেন। আমার বড় বউ অসুস্থ থাকে। তাই পরিবারের মত নিয়েই প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে করেছি।

তবে মেয়েটির পরিবারকে সুদের টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।

কাকুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সুদের টাকার জন্য চাপ দিয়ে বিয়ে করেছেন কি না, তা আমার জানা নেই। তবে অভাব-অনটনের কারণে পরিবার মেয়েটির বিয়ে দিয়েছে বলে স্থানীয় মেম্বার আমাকে জানিয়েছেন। সুদের টাকা না পাওয়ায়

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন বলেন, ঘটনাটি মাত্র জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।