৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

সোশ্যাল মিডিয়ায় তালা মারা বিটিআরসির ক্ষমতার বাইরে

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
15
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
সোশ্যাল মিডিয়ায় তালা মারা ক্ষমতার বাইরে
ফাইল ফটো: সোশ্যাল মিডিয়ায় তালা মারা বিটিআরসির ক্ষমতার বাইরে: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী। | ছবি : সোশ্যাল মিডিয়ায় তালা মারা ক্ষমতার বাইরে

ডেক্স রিপোর্টঃ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন মিডিয়ার কনটেন্ট অপসারণ বা তালা মারার ক্ষমতা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নেই ।

সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি কার্যালয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, কনটেন্ট ও আনুষাঙ্গিক বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদারে সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন>>>বাগেরহাটের মোল্লাহাটে ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

এছাড়া বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, সংস্থার মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ বক্তব্য দেন।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ডার্ক ওয়েভে অপরাধের প্রবণতা বাড়ছে। এখন সবচেয়ে বেশি অপরাধের মাধ্যম ইন্টানেট। এক্ষেত্রে অসহায় প্রকাশ করা ছাড়া বিকল্প কিছু থাকে না। এখন ভিপিএন হচ্ছে অপরাধের বড় হাতিয়ার। দিনে দিনে অপরাধ করার হাতিয়ার বাড়ছে।

মন্ত্রী বলেন, বিটিআরসি কেবল টেলকো অপারেটর ও আইএসপিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এখন আপত্তিকর ওয়েবসাইটগুলো বাংলাদেশের সীমানায় বন্ধ করতে পারে। ২২ হাজারের বেশি পর্নো-জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিনই যখন লিংক পাই তখনই বন্ধ করার চেষ্টা করি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তালা মারা ক্ষমতার বাইরে
বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আমরা এক রকমের অসহায়ত্ব বোধ করি, আর তা হলো সোশ্যাল মিডিয়া। তারা তাদের মতো করে কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড বানায়, আমরা তাদের কৃপার উপর নির্ভরশীল। সেটা আমাদের মেনে নিতে হবে। আমরা আশ্বস্ত করতে পারি, ফেসবুকের সঙ্গে নিয়মিত কথাবার্তা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, যারা আইন-আদালতের কাছে যান তারা আমাদের অবস্থাটা বুঝবেন। তালা মারার ক্ষমতা বিটিআরসির নেই। যে জায়গায় কাজ করার সক্ষমতা রাখি না, তার দায় আমাদের উপর দিলে অবিচার হবে।

মন্ত্রী বলেন, আদালেতের পক্ষালম্বন বা বিরোধিতার কোনোটাই আমরা করছি না। আদালতের রায় দেশের নাগরিক হিসেবে ব্যত্যয় করার কোনো কারণ নেই। আমরা আদালতের বক্তব্যের জন্য সংবাদ সম্মেলন করিনি। বিটিআরসি কোনটা করতে পারে কোনটা করতে পারে না- সেটি স্পস্ট করার জন্য এ সংবাদ সম্মেলন। আদালতকে সাংবাদিক সম্মেলনের সঙ্গে যুক্ত করবেন না। আদালতের বাইরে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই, সেই সুযোগও চাই না।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, মন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া বিধিবিধান অনুযায়ী কাজ চলছে। এরপরও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সীমাবদ্ধতা কোথায়? সাইবার ওয়ার্ল্ড উন্মুক্ত বিষয়। মহাশূন্যে যে কেউ ঘুড়ি উড়াতে চায়। নিয়ন্ত্রণের জন্য নাটাই নিজের হাতে বা সুতা কেটে দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ বিটিআরসির হাতে নেই।

আমরা বেশ কয়েকবার ফেসবুকের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমরা চেষ্টা করছি, বাংলাদেশে একটা অফিস স্থাপন এবং তারা আমাদের কথামতো কাজ করে। আমরা অফিস স্থাপনের কাজ করতে পারিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তালা মারা ক্ষমতার বাইরে
সোশ্যাল মিডিয়ায় হেনস্তার শিকার হলে প্রতিকারের জন্য বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, অনেক নারী, টিনেজাররা বিভিন্নভাবে বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছে। আমরা তাদের পরামর্শ দেই থানায় জিডি করে কপিটা আমাদের কাছে দেন। ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির কাছে অভিযোগ করলেও আমরা পাই। আবার সরাসরি আমরা কাজ করি। হটলাইন, ই-মেইলে, বিটিআরসির চেয়ারম্যানের ফেসবুকে দিতে পারেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram