১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
shadhin kanto

বাগেরহাটের রামপালে মাদকাসক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

প্রতিনিধি :
স্বাধীন কণ্ঠ
আপডেট :
আগস্ট ৮, ২০২২
24
বার খবরটি পড়া হয়েছে
শেয়ার :
স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
| ছবি : স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

মেহেদী হাসান, রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে যৌতুকলুভি পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্য স্ত্রীর গলায় ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিবাহের পর থেকেই মাদকাসক্ত স্বামী বারবার যৌতুক নিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, করেছেন শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতনও। হতদরিদ্র পরিবারটি এখন আতংকে দিনপার করছে। প্রতিকার চেয়ে পিতা আশ্বাদ আলী মোড়ল রামপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আরও পড়ুন>>>স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রযেন পরিত্যাক্ত ভুতুড়ে বাড়ি

লিখিত অভিযোগে যানা যায়, পারিবারিক ভাবেই বাগেরহাটের হেলাতলার মোসলেম ফকিরের ছেলে আলমগীর ফকিরের (৫৪) সাথে রামপাল উপজেলার বাছাড়েরহুলা গ্রামের আশ্বাদ আলীর মেয়ে ছায়মা বেগমের (২৮) বিবাহ হয়। কিছুদিন সংসার জীবন অতিবাহিত হতেই নানাবিধ সমস্যার অযুহাত দিয়ে শুরু হয় যৌতুক চাওয়া। সাধ্যমত যৌতুক দিলেও মাদকাসক্ত স্বামী আলমগীর ফকির ও তার বোন আফরোজা বেগম ছায়মা বেগমের উপর চালাতে থাকে মানষিক ও শারীরিক নির্যাতন। উপায়ন্ত না পেয়ে হতদরিদ্র পিতা আশ্বাদ আলী বারবার বুঝানোর চেষ্টা করেও আলমগীরকে ফেরাতে পারেন নি ভালো পথে।

অভিযোগ রয়েছে আফরোজা বেগমের প্ররোচনায় আলমগীর ফকির আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। নিরুপায় হতদরিদ্র পরিবারটি যৌতুক দিতে অস্বীকৃতি জানালে আলমগীর ও তার বোন আফরোজা বেগম বাড়ি যেকে তাড়িয়ে দেয় ছায়মা বেগমকে।

দীর্ঘদিন স্ত্রীর কোনো খোঁজখবর রাখেননি আলমগীর। গত ২৮ জুলাই আনুমানিক রাত ১.৩০ সময় পরিকল্পিতভাবে বোন আফরোজার ইন্ধনে আলমগীর ফকির খুন করার উদ্দেশ্য ধাঁরালো ছুরি দিয়ে ছায়মা বেগমের গলায় ও বাম পায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর জখম করে। ডাক চিৎকারে সবাই ছুঁটে আসার আগেই আলমগীর পালিয়ে যায়। গুরুতর জখম ছায়মা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

এর আগে আলমগীর ও তার বোন আফরোজা বেগম ছায়মা বেগমের মাথার চুল কেঁটে দিয়েছিলো। তার পরও মাদকাসক্ত স্বামীর ঘর করতে চেয়েছিলো হতদরিদ্র পরিবারের ওই মেয়েটি। কিন্তু যৌতুক লোভী পাষন্ত স্বামী ও বোনের ষড়যন্ত্রে ভেঙে গেছে হতদরিদ্র পরিবারের ওই মেয়েটির সংসার।

এবিষয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দীন জানান, অভিযোগ পত্রটি হাতে পেয়েছি। বিষয়টি পারিবারিক। আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

গরম খবর
menu-circlecross-circle linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram